সোমবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতা করছিলেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনাকালে জাপা এমপি সেলিম উদ্দিন অর্থমন্ত্রীকে তাদের আমলের অর্থমন্ত্রী বলে উল্লেখ করেন।

সম্পূরক বাজেট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, গতবার সম্পূরক বাজেট  নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছিল তাতে আমার ইচ্ছে ছিল সম্পূরক বাজেটটাকে আরেটু অর্থবহ করা এবং সেটা বিস্তৃত আলোচনার ব্যবস্থা করা। এটা এ বছর আমি করতে পারিনি সেজন্য খুবই দুঃখিত। আশা করছি ভবিষতে এ ধরনের একটা ব্যবস্থা হবে। সম্পূরক বাজেটে আমরা যে পরিবর্তন করেছি সেটা খুবই সামান্য। মোটামুটিভাবে আগে বিভিন্ন বিভাগে যে ক্ষমতা এই সংসদ দিয়েছিল সেটা যতদূর সম্ভব রক্ষা করেছি। তবে কিছুটা আয়-ব্যয় এদিকে-সেদিক হয়েছে। সেটিকে জায়েজ করার জন্য সম্পূরক বাজেট।

এরপর জাপার সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে মুহিত বলেন, আমার একটু বলা উচিত। কয়েকবারই বলেছি, কিন্তু জাতীয় পার্টির সদস্যরা সেটা অস্বীকার করে যান। আজকেই অস্বীকার করেছেন, এখনই মিস্টার সেলিম সেটা বলেছেন। আমি কোনো দিন জাতীয় পার্টির সদস্যও ছিলাম না, কোনো দিন জাতীয় পার্টির মন্ত্রীও ছিলাম না, অনেকবার এটা বলেছি।

‘জেনারেল এরশাদ যখন তার সামরিক শাসক ছিলেন সেই সময় মন্ত্রী ছিলাম, জাতীয় পার্টির তখন জন্মও হয়নি, জাতীয় পার্টির তখন জন্মও হয়নি। সেই সময়টিতে ছিলাম। জাতীয় পার্টির জন্ম হওয়ার আগে আমি সেই সরকার থেকে পদত্যাগ করে চলে যাই। কাজেই আমার অনুরোধ হবে ভবিষ্যতে যেন জাতীয় পার্টির সদস্যরা মনে রাখেন, যদি না রাখেন তাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।’

এরপর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, জাতীয় পার্টি গঠনের আগেই এরশাদ সাহেবের সামরিক সরকার যখন গঠন করে, তখন তার অর্থমন্ত্রী হিসেবে, সামরিক সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে এই সংসদে বাজেট দয়েছেন। তিনি কখনো জাতীয় পার্টি করেননি। তবে আমি আশ্বস্ত করতে চাই, ভবিষ্যতে আপনার মতো এতো জ্ঞানী, অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে জাতীয় পার্টি তাদের দলে স্থান দেবে না। এজন্য আপনাকে আদালতে যেতে হবে না। কিন্তু আপনি ব্যাংক ডাকতদের যে প্রটেকশন দিয়েছেন তার জন্য আদালতে যেতে হবে।